NCTB || এনসিটিবি

 - জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-

bd smart book author
AUTHOR

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ইতিবৃত্ত

bd smart book author

একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও উন্নতিতে পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পাঠ্যপুস্তক তার মনের চিন্তাধারাকে সুগঠিত করে এবং সেইসাথে তার মনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে ধারণ করে পাঠ্যপুস্তক। সমগ্র পৃথিবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের সর্বাধিক পরিচিত মাধ্যম পাঠ্যপুস্তক। আজও তা যেমন আছে আগামী দিনেও তেমনি থাকবে।

[info title="    কিছু লিংক" icon="info-circle"]

[/info] বাংলাদেশের শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যতম বৃহৎ জাতীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড । দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ও শিক্ষার প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনন্য। ইংরেজ আমলে অবিভক্ত বাংলাদেশে যেরূপ টেকস্টবুক কমিটি ছিল অনুরূপভাবে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাঠ্যপুস্তক তৈরির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে “পূর্ববঙ্গ স্কুল টেকস্টবুক কমিটি” গঠিত হয়।  আটত্রিশ সদস্য বিশিষ্ট যে  কমিটি গঠিত হয় পদাধিকার বলে জনশিক্ষা পরিচালক ছিলেন এর সভাপতি।  এই কমিটির কাজ ছিল প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের অনুমোদন প্রদান করা। পাঠ্যপুস্তক নির্বাচন ও অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে টেকস্টবুক কমিটি অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। এজন্য স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক যুগোপযোগী প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা সরকার গভীরভাবে উপলব্ধি করে। এ প্রেক্ষিতে ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেকস্টবুক আইন পাশ হয় এবং সে আইনের বিধি     অনুযায়ী “স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড” নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটির একজন সভাপতি যিনি উচ্চ পর্যায়ের একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং চারজন সদস্য যথাক্রমে (১) জনশিক্ষা পরিচালক (২) পূর্ববঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি (৩) একজন বেসরকারি ব্যক্তি এবং (৪) একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা,  যিনি হবেন কমিটির সদস্য-সচিব।  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণির  শিক্ষার্থীদের সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত ও বিতরণ ছিল এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৬, ১৯৬১ এবং ১৯৬৩ সালে এই প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠিত হয়।


[next]

 ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড কর্তৃক ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনর্লিখন এবং সেই সাথে একটি নবজাত রাষ্ট্রের জনসাধারণের প্রয়োজনীয় জ্ঞাতব্য বিষয় আধুনিক ধ্যান-ধারণার আলোকে পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশ করা হয়। ১৯৭৮-৭৯ সালে টেক্সটবুক বোর্ড নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ১৯৮৩ সালের মধ্যে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের স্থলে মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের কাজ সম্পন্ন করে। ১৯৮৩ সালে “The National Curriculum & Textbook Board Ordinance 1983 (Ordinance no. LVII of 1983)”  মাধ্যমে স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড ও জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কেন্দ্রকে একীভূতকরণের  মাধ্যমে বর্তমান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।  সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ অনুযায়ী বোর্ডের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও  যুগপোযোগী করার  জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে “The National Curriculum & Textbook Board Ordinance 1983 (Ordinance no. LVII of 1983)”  সংশোধন ও রহিতক্রমে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮’ বিলটি পাশ হয়।


জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রশাসনিক কাঠামো ও ব্যবস্থাপনা :

বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ৪ টি উইং যথাক্রমে শিক্ষাক্রম, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম, পাঠ্যপুস্তক ও অর্থ যা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত ৪ জন সদস্য দ্বারা পরিচালিত হয়। তাছাড়া একজন সচিব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক ও বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন। ঘঈঞই’র মোট জনবলের সংখ্যা ৩১১ জন এর মধ্যে ১ম শ্রেণির মোট পদ ৭৭টি, ২য় শ্রেণির মোট পদ ২৯টি, ৩য় শ্রেণির মোট পদ ১০৯টি ও চতুর্থ শ্রেণির ৫৯ জনসহ মোট ১৯১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া  সেসিপ প্রকল্পের ২০ জন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও প্রাইমারি শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের (PEDP-4) ৩ জন কর্মকর্তা সংযুক্ত হিসেবে কাজ করছেন। ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮’ অনুযায়ী সাংগঠনিক কাঠামো পুর্নগঠিত হলে নতুন ৪ টি উইং (কারিগরি, মাদ্রাসা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা) ও জনবল সংযুক্ত করা হবে।

[next]

বোর্ডের কার্যাবলি :
(ক) বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার
(খ) শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি এবং পাঠ্যপুস্তকের কার্যকারিতা যাচাই এবং মূল্যায়ন
(গ) পাঠ্যপুস্তকের পান্ডুলিপি প্রণয়ন
(ঘ) প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত ও প্রকাশ
(ঙ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন
(চ) ডিজিটাল ও মিথস্ক্রিয় পুস্তক প্রণয়ন ও অনুমোদন
(ছ) পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিতরণ এবং বিপণন
(জ) সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রেণি ও স্তরসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ
(ঝ) পাঠ্যপুস্তক, সহায়ক শিখন শেখানো সামগ্রী, পুরস্কার পুস্তক ও রেফারেন্স পুস্তক অনুমাদন
(ঞ) দান ও অনুদানের মাধ্যমে বিজ্ঞান, সাহিত্য, এবং সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকান্ড উৎসাহিতকরণ
(ট) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদন

এনসিটিবি'র প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

  •     শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়ন
  •     পাঠ্যপুস্তকসমূহের মুদ্রণ ও বিতরণের ব্যবস্থা
  •     গ্রহণশিক্ষাক্রম বিস্তরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি

NCTB is an autonomous organisation under the Ministry of Education in Bangladesh, responsible for the development of curriculums, production & more.

আপনার রিভিও কমেন্ট লেখুন

[facebook]

js

css for hide

css for design

hide title for this section

theme css

bdsbdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget